ব্রেস্ট ক্যান্সার এর কারণ | ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ব্রেস্ট টিউমার হলে কি করা উচিত

 স্তন ক্যান্সার কি

ব্রেস্ট টিউমার লক্ষণ ও ব্রেস্ট টিউমার হলে কি করা উচিত


ব্রেস্ট ক্যান্সার এর কারণ || ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ব্রেস্ট টিউমার হলে কি করা উচিত

ব্রেস্ট ক্যান্সারের ছবি

স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণগুলো এখনো সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি। কিছু মহিলার ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাদের এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি। মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে। 

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গঠিত হয় খুব ছোট ছোট জীবকোষ দিয়ে। ক্যান্সার এসব জীবকোষের রোগ। স্বাভাবিকভাবে জীবকোষের বিভাজন ঘটে সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রিত উপায়ে। যদি কোনো কারণে এ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাহলে জীবকোষগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বিভক্ত হয়ে একটি পিণ্ড সৃষ্টি করে, যাকে বলা হয় টিউমার। দুই ধরনের টিউমার হতে পারে-


বিনাইন :

বেশির ভাগ স্তনটিউমার বিনাইন হয়, যা ক্ষতিকর নয়। কিছু বিনাইন টিউমার স্তনক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

ম্যালিগন্যান্ট :

ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের মধ্যে এমন ধরনের ক্যান্সার জীবকোষ থাকে, যা চিকিৎসা না করা হলে স্তনের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো রক্তপ্রবাহ কিংবা লসিকার মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এসব জীবকোষ নতুন স্থানে পৌঁছে নতুন টিউমার সৃষ্টি করতে পারে। এ নতুন টিউমারকে বলা হয় মেটাস্ট্যাটিক টিউমার। 

প্রাথমিকপর্যায়ে ধরা পড়লে স্তনের ক্যান্সার সারানো যায়। তবে ক্যান্সার যদি শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সাধারণত তা সারানো যায় না; কিন্তু এ রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়। পশ্চিমা বিশ্বে মহিলাদের ক্যান্সারের মধ্যে স্তন ক্যান্সারই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে আমাদের দেশে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের পর স্তন ক্যান্সারের অবস্থান।

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি

জেনেটিক রিস্ক ফ্যাক্টর- স্তন ক্যান্সার হওয়ার একটি কারণ হলো উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ক্রুটিযুক্ত ‘জিন’। যেসব অস্বাভাবিক জিন স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়, তাদের মধ্যে আছে BRCA1 এবং BRCA2 জিন। 

পারিবারিক ইতিহাস 

• একই পরিবারের দুই বা তার বেশি নিকটাত্মীয়ের স্তনের ক্যান্সার। 

• একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অন্যান্য ক্যান্সার- বিশেষ করে মলাশয় ও ভ্রুণকোষের ক্যান্সার, সেইসাথে স্তন ক্যান্সার। 

• ৪০ বছরের কমবয়সী একজন নিকটাত্মীয়ের স্তন ক্যান্সার। 

• স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত এমন একজন আত্মীয়, যার দুই স্তনেই এ রোগ হয়েছে।

ব্যক্তিগত ইতিহাস

যেসব মহিলার এক স্তনে ক্যান্সার হয়েছে, তাদের অন্য স্তনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

শ্বেতাঙ্গ মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা এশিয়ান বা আফ্রিকান মহিলাদের চেয়ে বেশি।


অন্যান্য ঝুঁকি 

১. সন্তানহীনতা বা বেশি বয়সে সন্তান হওয়া। 

২. খুব অল্প বয়সেই ঋতুস্রাব হওয়া কিংবা ঋতুবন্ধ বেশি বয়সে হওয়া। 

৩. গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার। যারা ১০ বছরের বেশি সময় আগে বড়ি খাওয়া বন্ধ করেছেন তাদের বেলায় সম্ভবত ঝুঁকি নেই। 

৪. হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (HRT)। 

৫. শিশুকে বুকের দুধ পান না করানো। 

৬. অ্যালকোহল ব্যবহার। 

৭. স্থূলতা, অধিক চর্বিজাতীয় খাবার ও শারীরিক কর্মহীনতা। ক্যান্সার সংক্রামক রোগ নয় এবং একজনের রোগ আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। 

স্তন ক্যান্সারের লক্ষন 

এ রোগের লক্ষণ কী কী?

বেশির ভাগ মহিলার ক্ষেত্রেই স্তন ক্যান্সার প্রথমে লক্ষ করা যায় স্তনে একটি বেদনাহীন পিণ্ডের আকারে। তবে অন্যান্য কিছু লক্ষণ সম্পর্কেও সচেতন থাকা দরকার 

  • স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন। 
  • স্তনের ত্বকে টোলপড়া। 
  • স্তনে একটি পিণ্ড বা স্ফীতি দেখা দেয়া। 
  • স্তনের বোঁটার পরিবর্তন (ভেতর দিকে ঢুকে যায়) 
  • স্তনের বোঁটা থেকে রক্তসহ তরল পদার্থের ক্ষরণ। 
  • স্তনের বোঁটায় বা তার চার পাশে চুলকানির মতো হওয়া। 
  • বগলের লসিকাগ্রন্থিগুলোর স্ফীতি। 

স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা


স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় যে সকল শল্যচিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে তা হল-

 ক্যান্সার আক্রান্ত চাকা (টিউমার) অপসারণ

এতে স্তন সংরক্ষণ করে টিউমার/চাকা অপসারণ বা স্থায়ীভাবে টিউমার অপসারণ করা যায়। এখানে শল্যবিদ টিউমার এবং এর আশেপাশে সুস্থ টিস্যু অপসারণ করেন। সাধারণত ছোট টিউমার যেগুলো পার্শ্ববর্তী টিস্যু থেকে সহজে অপসারণ করা যায় সেগুলোর ক্ষেত্রে এধরণের অস্ত্রোপাচার করা হয়।

 সম্পূর্ণ স্তন অপসারণ

এধরণের অস্ত্রোপাচারে সম্পূর্ণ স্তন ফেলে দেওয়া হয় অথবা স্তন এবং এর নিচের বুকের খাঁচার মাংসপেশি, বগলের লসিকাগ্রন্থিসহ আনুসাঙ্গিক আক্রান্ত টিস্যু অপসারণ করা হয়। সাধারণত এখন আর তেমন করা হয় না। কোন কোন রোগীর স্তনের চামড়া সংরক্ষণ করে বিকল্পভাবে স্তন পুনর্গঠন করা হয়।

একটি লসিকা অপসারণ

যদি ক্যান্সার বগলের একটি লসিকাগ্রন্থিতে ছড়িয়ে পড়ে তবে শল্যবিদরা এই গ্রন্থিসহ আশেপাশের অন্যান্য কিছু লসিকাগ্রন্থিও অপসারণ করেন। এই লসিকাগ্রন্থি যে পদ্ধতির মাধ্যমে অপসারণ করা হয় তাকে প্রহরী লসিকাগ্রন্থি বায়োপসি বলে এবং অপসারণের পর তাতে স্তন ক্যান্সার কোষ আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। যদি এতে কোন ক্যান্সার কোষ না থাকে তাবে অবশিষ্ট লসিকাগ্রন্থিতে ক্যান্সার কোষ পাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে এবং এজন্য সেগুলো অপসারণ করাও প্রয়োজন পরে না।

বগলের লসিকাগ্রন্থিসমূহ অপসারণ

যদি শল্যবিদরা বগলের প্রহরী লসিকাগ্রন্থিতে ক্যান্সার কোষ পান তবে তারা বগলের অতিরক্তি লসিকাগ্রন্থি অপসারণ করেন। যদিও প্রমাণিত যে ২ ইঞ্চি –  ৫ সেন্টিমিটার এর সমান স্তনের প্রাথমিক পর্যায়ের টিউমারের ক্ষেত্রে যেখানে বগলের অল্পসংখ্যক লসিকাগ্রন্থি আক্রান্ত হয়েছে সেখানে স্তন টিউমার অপসারণ কেমোথেরাপি এবং পুরো স্তন বিকিরণ চিকিৎসা রোগীদের অতিরিক্ত লসিকাগ্রন্থি অপসারণের ক্ষেত্রে রোগীর বেঁচে থাকার অনুপাত বাড়ায় না। এধরণের প্রাথমিক টিউমারের ক্ষেত্রে স্তন টিউমার অপসারণের পর কেমেোথেরাপি এবং বিকিরণ চিকিৎসাই সমভাবে কার্যকর এবং প্রমাণিত। এই চিকিৎসা লসিকাগ্রন্থি অপসারণের ফলে হাতের দীর্ঘস্থায়ী ফোলার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো হয়।

বড় স্তন টিউমারের ক্ষেত্রে অথবা যদি শরীরিক পরীক্ষার সময় বগলের কোন লসিকাগ্রন্থি হতে অনুভূত হয় সেসব ক্ষেত্রে বগলের লসিকাগ্রন্থির ব্যবচ্ছেদ করা হয়। যদি কোন রোগীর আংশিক স্তন বিকিরণ চিকিৎসা নিতে চায় তাদের ক্ষেত্রেও লসিকাগ্রন্থির ব্যবচ্ছেদ করা যেতে পারে।

স্তন ক্যান্সারের শল্যচিকিৎসার জটিলতা কি ধরণের শল্যচিকিৎসা নির্বাচন করা হবে তার উপর নির্ভর করে। শল্যচিকিৎসায় রক্তপাত ও সংক্রমনের ঝুঁকি থাকে।

কিছু মহিলা শল্যচিকিৎসার পর স্তন পুর্নগঠন করতে চান। এব্যাপারে শল্যবিদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে হয়। স্তন ক্যান্সারের অপারেশনের আগে একজন প্লাস্টিক শল্যবিদের সাথে পরামর্শ করা যেতে পারে। স্তন পুর্নগঠনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম স্তন ইমপ্লান্ট বা নিজের শরীরের টিস্যু ব্যবহার নির্বাচন করা হয়। এই অস্ত্রোপাচার স্তন ক্যান্সার অপারেশনের সময় বা তার পরবর্তী সময় করা হয়।

ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২

উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন শক্তির বিকিরণ চিকিৎসা ব্যবহার করে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করা হয় (যেমন: এক্সরে),  রেডিও থেরাপি সাধারণত একটি বড় মেশিনের সাহায্যে শরীরের দিকে লক্ষ করে তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে। তাছাড়া শরীরের ভেতরে তেজস্ক্রিয় পদার্থ স্থাপন করেও বিকিরণ করা যায়।


  • বাহ্যিক বিম রেডিয়েশন

বাহ্যিক বিম বিকিরণ সাধারণত প্রারম্ভিক স্তরের স্তন ক্যান্সারের জন্য ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসকেরা অনেক বড় স্তন ক্যান্সারের জন্য লাম্পেকটমির পরে বিকিরণ থেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন। এই রেডিও থেরাপি যেসব মহিলাদের উপর ব্যবহার করা হয় যাদের সেন্টিনেল নোড বায়োপসি নেগেটিভ হয় এবং এতে তাদের অন্যান্য লসিকাগ্রন্থিতে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

রেডিওথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো- ক্লান্তিভাব এবং সে অংশের চামড়ায় রোদে পোড়া, লালা ফুসকুড়ি হতে পারে, এছাড়া স্তন ফোলা এবং স্তনের চামড়া অধিক দৃঢ় মনে হতে পারে।

স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপী


কেমোথেরাপি কি

কেমোথেরাপি ক্যান্সার কোষকে ধ্বংসকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। যদি ক্যান্সার পুনরায় হওয়ার এবং শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার কোন আশঙ্কা থাকে তখন চিকিৎসক কেমোথেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন। যা ক্যান্সার পুনরায় হওয়ার আশঙ্কা দূর করে। একে বলা হয় এডজুভেন্ট সিস্টেমিক কেমোথেরাপি।

কেমোথেরাপী মাঝে মধ্যে কিছু মহিলাদের স্তনের অস্ত্রোপাচারের পূর্বে দেয়া হয়, যাদের স্তনের টিউমার অনেক বড় থাকে। চিকিৎসকরা একে নিউএডজুভেন্ট কেমোথেরাপী বলেন। এর উদ্দেশ্য হলো টিউমারের আকৃতিকে ছোট করা। যাতে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তা সহজে অপসারণ করা যায়। এটি আরোগ্য লাভের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। নিউ এডজুভেন্ট কেমোথেরাপীর উপর গবেষণা চলছে যা নির্ণয় করার চেষ্টা করছে যে কারা এ চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে সুফল পাবে।


কেমোথেরাপী ব্যবহার করা হয় মহিলাদের জন্য যাদের ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রেণে রাখার জন্য এবং ক্যান্সার এর উপসর্গ সমূহ লাঘবের জন্য চিকিৎসকরা কেমোথেরাপী সুপারিশ করতে পারেন।

কেমোথেরাপী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নির্ভর করে কেমোথেরাপীর ওষুধের উপর। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হচ্ছে- চুল পড়া, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, ক্লান্তি ভাব এবং ইনফেকশন হওয়া অল্প ঝুঁকি।



ব্রেস্ট ক্যান্সার এর কারণ  ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ব্রেস্ট টিউমার হলে কি করা উচিত


ব্রেস্ট ক্যান্সার এ সচেতনতা


১) অতিরিক্ত মদ্যপান মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনি যদি স্তন ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান, তাহলে অবশ্যই মদ্যপানের পরিমাণ কম করুন।


২) অস্বাস্থ্যকর ডায়েট স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আপনি যদি স্তন ক্যান্সারের শিকার না হতে চান, তাহলে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন। আর ডায়েটের তালিকায় টাটকা ফল এবং সব্জি রাখুন।


৩) যিনি রোজ নিয়ম করে শরীর চর্চা করেন, তাঁর স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। সমীক্ষা বলছে যে, সপ্তাহে ৭৫ থেকে ১৫০ মিনিট দ্রুতবেগে হাঁটলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।


৪) যে সমস্ত মহিলারা শিশুদের স্তন্যপান করান, তাঁদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কম থাকে।


৫) ধূমপান যে শুধুমাত্র আমাদের শরীরেরই ক্ষতি করে তাই নয়, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে কম বয়সী মেয়েরা যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি খুব বেশি থাকে। 



কিভাবে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করবেন


নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করুন : স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ হচ্ছে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা। 

প্রতি মাসে মাসিক শেষ হওয়ার দুই-তিন দিন পর প্রত্যেক মহিলা নিজেই পরীক্ষা করে দেখবেন তার স্তনে কোনো দলা বা চাকা আছে কিনা। নিজের শোয়ার ঘরে কিংবা বাথরুমের লম্বা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এ পরীক্ষা করতে হয়। সকাল বেলা পরীক্ষা করাই ভালো। আর যাদের মাসিক বন্ধ হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ রজঃনিবৃত্তির পরে প্রতি মাসের প্রথম দিনেই পরীক্ষা করতে হবে। যাদের জরায়ু সার্জারি করে বাদ দেয়া হয়েছে তারাও প্রতি মাসের প্রথম দিনে স্তন পরীক্ষা করবেন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.