৩ টি বিচিত্র উপায়ে বাড়িয়ে নিন স্মৃতিশক্তি
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিয়মিত খাবার ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় কি
আমাদের দৈনন্দিন শারীরিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হুটহাট সবকিছু ভুলে যাওয়া। ছোটোখাটো জিনিস ভুলে যাওয়ার সমস্যাকে যতোটা সহজ ভাবা হয় বিষয়টি কিন্তু ততোটা সহজ নয়। কারণ এর থেকেই সমস্যার শুরু হয়। আর তাই স্মৃতিশক্তির এই বিষয়টিতে সতর্ক থেকে দ্রুত স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করা উচিত। আজকে কিছু বিচিত্র তবে দারুণ কার্যকরী উপায় জানিয়ে দিচ্ছি যা খুব সহজে আপনার স্মৃতিশক্তি উন্নয়নে কাজ করবে।
ঘাসের ঘ্রাণ নিন
অনেক বছরের গবেষণায় ব্রিসবেনের, কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির নিউরো সায়েন্টিস্টগন দেখতে পান যে তাজা ঘাসের সুঘ্রাণ মস্তিষ্কের দুটি অংশকে স্টিমুলেট করতে সহায়তা করে, যারা হচ্ছে amygdala (যা আমাদের আবেগের জন্য দায়ী) এবংhippocampus (যা স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে)। আর এই স্টিমুলেশনের কারণে শ্বাসের সাথে তাজা ঘাসের সুঘ্রাণ নেয়া মানসিক চাপ দূর করে মস্তিষ্ক রিলাক্স করে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
চুইংগাম চিবোন
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন না কেন চুইংগাম চিবোনোর সাথে আমাদের মস্তিষ্কের সগাজ ভাব এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দারুণ সংযোগ রয়েছে। দুটি গবেষণার ফলাফল হিসেবে জার্নাল অ্যাপেটিটে ২০০২ এবং ২০০৪ সালে প্রকাশ করা হয় এই তথ্যটি। এই গবেষণায় দেখা যায় যারা চুইংগাম বেশি চিবোন কোনো কিছু শেখার সময় তারা অন্যান্যদের তুলনায় ভালো রেজাল্ট করে থাকেন। আর এর কারণ হিসেবে গবেষকগণ বলেন, চুইংগাম চিবোনোর কারণে হার্ট রেট বেড়ে যায় এবং সেই সাথে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বাড়ে যা স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে তোলে।
ক্যাফেইন
ক্যাফেইনের খারাপ দিকগুলো সকলেই জানেন, কিন্তু এই তথ্যটি জানেন কি, ক্যাফেইনের রয়েছে মস্তিষ্কের সজাগ ভাব এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর দারুণ ক্ষমতা রয়েছে? বিগত ৫ বছরের বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যায় যে, ক্যাফেইন শর্ট টার্ম মেমোরি এবং নারীদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি হারানো প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। তবে ভালো ফলাফল পেতে অবশ্যই পরিমিত ক্যাফেইন গ্রহণ করা উচিত। নতুবা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
ঘুম ও মেডিটেশন
ঘুমকে আমরা অনেকেই গুরুত্ব দেই না। কিন্তু শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখতে ঘুমের ভূমিকা অপরিসীম। ঘুম মস্তিষ্কের অন্যতম ডিটক্সিফাইন কর্ম। ঘুমের সময় আমাদের শরীরে কোষের পূর্ণবিন্যাস করে এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। চেষ্টা করুন রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমাতে যাবার। মধ্যরাত ঘুমের জন্য সবচেয়ে ভাল সময়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে মেডিটেশন অন্যতম একটি মাধ্যম।ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালফোনিয়ার গবেষকরা ৪৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে গবেষণা করে দেখেছেন যে মেডিটেশন মস্তিষ্কের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে। তারা শিক্ষার্থীদেরকে দুই ভাগে ভাগ করে দেখেছেন, এর মধ্যে এক ভাগ পুষ্টি বিষয়ক ক্লাস করেছেন, আরেক ভাগ মেডিটেশন গ্রহণ করেছেন। ক্লাস শেষে তারা দেখতে পান যারা মেডিটেশন করেছেন তাদের স্মৃতিশক্তি অধিক বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদের তুলনায়।
ব্রেইন গেম
অ্যান্ড্রয়েডের জন্য Mind Games অন্যতম ব্রেইন গেম এর মধ্যে একটি। গেমটি আপনার মস্তিককে ট্রেনিং দিয়ে আপনার বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনার মস্তিস্ককে ট্রেইনআপ করার জন্য ২৮টির ও বেশি মাইন্ড গেম আছে। যা সহজ থেকে পর্যায়ক্রমে কঠিন হতে থাকে।
গেমটিতে লেভেল সংখ্যা ১০০টির মতো। ম্যাথ গেম, ওয়ার্ড গেম ইত্যাদি এই গেমটির অন্তর্ভুক্ত। আপনি এই গেমগুলোর যে কোনো একটি সিলেক্ট করে পছন্দ মতো খেলতে পারবেন এবং আপনার বুদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারবেন।
অ্যাপ্লিকেশনটি আপনার সর্বোচ্চ স্কোর সেভ করে রাখবে এবং অন্য যারা গেমটি খেলবে তাদেরও সর্বোচ্চ স্কোর দেখাবে। ফলে আপনি আপনার পারফরমেন্স কেমন তা সহজেই বুঝতে পারবেন। সুতরাং, বুদ্ধি বাড়াতে ব্রেন গেম হিসেবে এই গেমটি খেলতে পারেন।
শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়
- স্মৃতিশক্তি শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। স্মৃতিশক্তি ভালো হলে সে স্কুলে কিংবা যেকোন জায়গায় ভালো করতে পারবে।
- অনেক শিশুই পড়াশোনা কিংবা কোনো বিষয় বুঝতে বা মনে রাখতে না পারলে অসহায় বোধ করে। শিশুদের স্মৃতিশক্তির বাড়ানোর বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। এ ব্যাপারে শিশুদের বাবা-মা তাদের সাহায্য করতে পারেন।
- শিশুদের প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুন। তারপর সেইসব প্রশ্নের উত্তর দিন। এতে তারা চিন্তা করার শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- যা তারা শিখছে তাই দিয়ে ছড়া, কবিতা কিংবা গান তৈরি করতে সাহায্য করুন। গান বা এই জাতীয় ছন্দ সহজেই মাথায় গেঁথে যায় । তাই এর ব্যবহার শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- পড়াশোনা আনন্দদায়ক করতে তাকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের বই কিংবা ভিডিও দেখাতে পারেন। এগুলো শিশুদের শেখার আগ্রহ তৈরিতে সাহায্য করে। শিশুদের মাঝে মধ্যে জাদুঘর কিংবা আর্ট গ্যালারিতে নিয়ে যেতে পারেন। নিজের পড়াশোনার সঙ্গে যদি এগুলোর কোনটি মিলে যায় তাহলে তা মনে রাখতে তার জন্য অনেক সহজ হবে।
- যেই পড়াটা সে বুঝতে পারছে না বা মনে রাখতে সমস্যা হচ্ছে সেটা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। সে কী ভাবছে তা জানতে চেষ্টা করুন।
- শিশুকে এমনভাবে পড়াতে হবে যাতে যা সে শিখছে তা যেন দেখতে পারছে এমন একটা অনুভূতি হয়। ছবি দেখিয়ে কিংবা গল্প করে সেটা বোঝাতে পারেন।
- শিশুকে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ দিন। শিশু যা শিখছে তা তাকে ব্যাখা করতে দিন।
- শিশুর মনে আলাদা মানচিত্র তৈরি করতে সাহায্য করুন। বিভিন্ন ভাবনার কথা তাকে বলুন যাতে একটার সঙ্গে সে আরেকটা সংযোগ করতে পারে।
- তার সঙ্গে শব্দের খেলা খেলতে পারেন। একটা শব্দের সঙ্গে মিলিয়ে সে কতগুলো জিনিস কিংবা ভাবনার কথা বলতে পারে সেটা দেখতে পারেন। এতেও তার মস্তিষ্কের শক্তি বাড়বে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর খাবারগুলো কি?
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিয়মিত খাবার
মাছ
তৈলাক্ত মাছ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ উপকারী। যেমন—স্যামন, সার্ডিন, টুনা, ম্যাকরেল প্রভৃতি মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিত।
মাছের চর্বি
মাছের চর্বিতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্ক গঠন ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক। অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য গর্ভবতী নারীদের সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খেতে পরামর্শ দেয়া হয়। মাছ শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। স্যামন এবং টুনা মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস।
টমেটো
টমেটো স্মৃতিশক্তি সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন, যা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত খাবারের সঙ্গে সালাদ হিসেবে টমেটো খেলে তা মস্তিষ্কের পক্ষে বিশেষ উপকারী।
ভিটামিন ‘বি’ সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন বি, বি৬, বি১২ সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। মাছ, মুরগির মাংস, ডিম এবং শাক জাতীয় খাবারে এর পরিমাণ বেশি থাকে।
শস্য জাতীয় খাবার
শস্য জাতীয় খাবার, বাদাম, ব্রকোলি, কুমড়োর দানা মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী। এ কারণে নিয়মিত ডায়েট চার্টে এগুলো বেশি বেশি রাখা উচিত।
কাঠবাদাম
কাঠবাদাম একটি চমৎকার আয়ুর্বেদিক উপাদান। এটি স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের জন্যও ভালো।
যা করতে হবে
- ৫ থেকে ১০টি কাঠবাদাম সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।
- পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং একে গুঁড়া করুন।
- এক গ্লাস দুধের মধ্যে এই গুঁড়া মিশিয়ে ফুটান।
- স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য চিনি বা মধু মেশাতে পারেন।
- ৩০ থেকে ৪০ দিন এটি প্রতিদিন খান।
মধু ও দারুচিনি
মধু ও দারুচিনি স্নায়ুকে শিথিল করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। গবেষণায় বলা হয়, কেবল দারুচিনি একটু নাকের কাছে নিয়ে শুঁকলেও স্মৃতিশক্তি ভালো হয়, এতে মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ে।
অনেকে এও বলেন, ঘুমের আগে মধু খেলে মানসিক চাপ কমে; ঘুমেও সাহায্য হয়। এটি স্মৃতি একত্রীকরণে ভূমিকা রাখে।
যা করতে হবে
- এক চা চামচ কাঁচা মধুর মধ্যে এক চিমটি দারুচিনি মেশান।
- কয়েক মাস ধরে প্রতি রাতে এটি খান।
ডিম:
যেকোনো পুষ্টিবিদই আপনাকে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিবেন। ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিগুণ। ডিমের হলুদ অংশে কোলিন (দ্রবণীয় নিউট্রিয়েন্ট) রয়েছে, যা মস্তিষ্কের জন্য বেশ দরকারি। বিশেষ করে ক্ষণস্থায়ী স্মৃতিশক্তির ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।
সূর্যমুখীর বীজ:
এই বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-ই রয়েছে, যা স্মৃতিশক্তির কার্যাবলীকে মসৃণ গতিতে পরিচালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বয়স্কদের স্মৃতিশক্তি রক্ষার্থে ত্রাণকর্তা হিসেবেও কাজ করে সূর্যমুখীর বীজ। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলিন রয়েছে, যা স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিশক্তির ঘাটতি পূরণে কাজ করে।
বেরি
স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং ব্লুবেরিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের সংকেত পাঠানোর পথকে শক্তিশালী করে। মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করে বেরি। এটি বললে ভুল হবে না, বেরির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডিমেনশিয়া এবং অ্যালজেইমার বিলম্বিত করতেও সহায়তা করে।
শাক
শাক শরীর গঠনের খাবার হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া শাকে লুটেনিন নামে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি কগনিটিভ (জ্ঞান অর্জন ও চিন্তা করার ক্ষমতা) পতন প্রতিরোধ করে। লুটেইন মস্তিষ্কের প্রধান কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি ও শেখার ক্ষমতার উন্নয়ন করে।
বিটমূল
মেরুন রঙের এই সবজিটি নাইট্রেটের সবচেয়ে ভালো উৎস, যা মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ উন্নতি করে মস্তিষ্কের কার্যাবলী বৃদ্ধি করে। ডিমেনশিয়া আক্রান্তদের মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক করে।
শস্যদানা
আস্ত শস্যদানা পুরো শরীরে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
কালো চকোলেট
এতে প্রাকৃতিক উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পরিমিত মাত্রায় চকোলেট খেলে এরমধ্যে থাকা ক্যাফেইন
আপনার মস্তিষ্ক এবং মেজাজ স্বাভাবিক রাখবে
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে স্ট্রেস থেকে দূরে থাকুন
স্ট্রেস আপনার স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেওয়ার জন্য অনেকখানি দায়ী। স্ট্রেস আপনার সাময়িক স্মৃতিশক্তি নষ্ট করার সাথে সাথে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তিও নষ্ট করে থাকে। স্ট্রেস কমানোর সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল লম্বা শ্বাস গ্রহণ করা। এটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে মস্তিষ্ককে সচল রাখে।
এই অভ্যাসগুলোর পাশাপাশি ধূমপান, মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস করুন, এটি আপনাকে নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে রাখবে। ছোটখাটো হিসাব করার জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা বন্ধ করুন। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বা ক্যালকুলেটরের উপর নির্ভরতা আমাদের মস্তিষ্ককে অলস করে দেয়।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনার বিন্দু মাত্র উপকারে আসে তাহলেই আমার এই লেখালেখি সার্থক হবে ।
সুস্থ থাকুন সব-সময়।