শিশুর নামকরণের গুরুত্ব
ইসলামী সুন্দর নাম রাখার গুরুত্ব ও বাচ্চার নাম রাখার নিয়ম
শিশু জন্মগ্রহণ করার পর তার নাম রাখা হয়। শিশুর নামকরণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিৎ।
নাম সুন্দর, মার্জিত, শ্রুতিমধুর ও অর্থবহুল নাম রাখা দরকার।
আব্দুল্লাহ বা আব্দুর রহমান তথা আল্লাহর সত্তাবাচক বা গুণবাচক নামের আগে আবদ বা অন্য শব্দ যোগ করে নামকরণ করা ভাল। যেমন : আব্দুর রহিম, আব্দুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রব, আব্দুল কুদ্দুস ইত্যাদি। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন এই ধরনের নাম যেন শুধু রহিম,রহমান,রাজ্জাক,কুদ্দুস এইভাবে ডাকা না হয় । নামের আগে কুনিইয়া রাখতে পারেন। আল্লাহর রাসূল এ ধরনের কুনিইয়া রাখতেন।
মুসলিম শিশুর এমন নাম রাখা উচিত যা শোনার সাথে সাথে বুঝা যায় এটা এক জন মুসলিমের নাম।অনেক সময় এমন নাম রাখা হয় যেটা শুনে বোঝা যায় না যে সে মুসলিম নাকি অন্য ধর্মের লোক। আবার অনেক সময়ই ছেলেদের নাম এবং মেয়েদের নাম বিষয়টা বোঝা যায় না কোনটা ছেলের নাম আর কোনটা মেয়ের নাম। যেমন কাজল, নয়ন, রিংকু, টিংকু, রনী, ইত্যাদি।
যে সকল গুণবাচক নামের হকদার একমাত্র রাসুলে কারীম (সঃ) সে সব নামে কারও নামকরণ করা ঠিক নয়।
যেমন:
- খাতামুন্নাবীয়্যীন (সর্বশেষ নবী)
- সাইয়েদুল মুরসালীন (রাসুলগণের নেতা)
আল্লাহ পাকের যাতী নামে কারও নামকরণ করা হারাম। শুধু আল্লাহ কারও নাম রাখা জায়েয নাই। অনুরূপভাবে আল্লাহর সাথে খাস এমন কোন নাম কারো সাথে লাগোনো যাবেনা।
যেমন: মালেকুল মুলক (জগতের বাদশাহ) সুলতানুস সালাতীন (বাদশাহদের বাদশাহ) ইত্যাদি।
ফেরেশতাদের নামে নামকরণ করাও অধিকাংশ আলেমের মতে নিষিদ্ধ। তাই জিবরীর, ইসরাফীল, আজরাঈল, মীকাঈল ইত্যাদি নামে নামকরণ করা উচিৎ নয়।
যে সকল নাম ইসলামের ইতিহাসে খুবই ঘৃণিত সে সকল নামে কোন শিশুর নামকরণ করা ঠিক নয়। যেমন: ইবলীশ, শাদ্দাদ, কারুন, ফেরাউন, আবু জেহেল, আবু লাহাব প্রভৃতি নাম রাখা উচিত নয়।
যে সব নামে আল্লাহর সাথে বিদ্রোহের অর্থ বুঝা যায় সে ধরনের নাম রাখাও ঠিক নয়।
যেমন: আচিয়া (বিদ্রোণী)।
শিশুর একটি সুন্দর নাম রাখা ভাল। তবে কোন কারণে একাধিক নাম রাখাও যেতে পারে।
কারও নাম যদি অসুন্দর হয়, সে বড় হয়ে গেলেও তার নাম পরিবর্তন করা যায়।
এমন কোন নাম রাখা ঠিক নয় যার অর্থ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও আবদ বা গোলাম হওয়া বুঝায়।
যেমন:গোলাম মোস্তফা, গোলাম নবী, গোলাম রাসুল, আব্দুন্নবী, আব্দুস শামস ইত্যাদি।
অনেককিছু জানতে পারলাম আজ।
উত্তরমুছুনএই আর্টিকেলটি যদি আপনার বিন্দু মাত্র উপকারে আসে তাহলেই আমার এই লেখালেখি সার্থক হবে ।
সুস্থ থাকুন সব-সময়।