ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
মেয়েদের মতো ছেলেদের ত্বক ফর্সা হওয়ার দরকার থাকে। ছেলেরা সব সময় প্রকাশ করতে পারেনা কিন্তু দীর্ঘদিন অযত্ন করতে করতে ত্বকের চেহারা একেবারে পাল্টে যায়। তবে ছেলেরা চাইলেও বাড়িতে ঘরোয়া উপাদান দিয়ে ত্বক ফর্সা করতে পারে।
১) প্রথমে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কোনো ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। বাজার চলতি ভালো ফেসওয়াশ কিনতে হবে যদি সেটা না পাওয়া যায় তাহলে তুলোয় করে একটু গোলাপ জল দিয়ে মুখ মুছে নিলেই হবে।
২) সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে ছেলেরা যেহেতু চাকরি সূত্রে বেশিরভাগ সময় রাস্তায় কাটায় তাই তারা সঠিক পরিমাণ জল পান করার সময় পান না, কিন্তু বাড়িতে যতক্ষন থাকবেন অথবা রাস্তায় যতটা সম্ভব জল পান করা উচিত।
৩) যাদের বাইরে ঘুরে ঘুরে কাজ করতে হয় তারা অবশ্যই ফুলহাতা শার্ট পড়বেন। টুপি, ছাতা যেকোনো উপায়ে মাথা, মুখ ঢাকার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত রোদ লাগলে শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়।
৪) ত্বক ফর্সা করার জন্য কয়েকটি খাবার রয়েছে। যেগুলো খেলে আপনার ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হবে সুন্দর হবে। আপেল, গরুর দুধ, টক দই, গাজর ইত্যাদি প্রতিদিন নিয়মিত খেতে পারলে তখনি বেশি সুন্দর হয়। প্রতিদিন ভিটামিন সি জাতীয় ফল খেতে হবে। শীতে প্রচুর পরিমাণে কমলালেবু এবং আমলকি পাওয়া যায়। তাই আর দেরি না করে আমলকি এবং কমলালেবু খান। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াবে এবং শরীরকে অনেক বেশি টক্সিন ফ্রী করবে।
৫) বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। যতটা সম্ভব বাড়ির খাবার খাওয়া যায় তার চেষ্টা করুন। বাইরে থেকে যদি খেতেই হয় তাহলে ফল, হালকা কিছু খাবার খান। খুব বেশি ভাজা মশলাযুক্ত খাবার খাবেন না।
ফর্সা হওয়ার কিছু সহজ উপায়ঃ-
কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক। মেঘলাদিনে দেখেছিলেম মাঠে কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ। নির্জন কোন এক গ্রামের পথে কবি দেখেছিলেন তাকে না দিয়েছিলেন কৃষ্ণকলি। শুধু রবীন্দ্রনাথ না, বহু কবি সাহিত্যিক তাদের লেখায় কালো বরণ মেয়েদের নিয়ে ভালবাসার লাল গোলাপ রচনা করলেও। বাস্তবে কি হয়?
ভাইসাহেব মেয়ের গায়ের রঙটা যদি আরেকটু ফর্সা হতো, তাহলে বিয়ের দিনটা পাকা করতাম। বড্ড ময়লা রঙ। ফোন করে এমন কথা শোনার পর পাত্রীর বাবার মনের দশা কি হতে পারে বলুন তো? মেয়েটিও মনের দিক থেকে ভেঙ্গে পড়ে। ভাবে, এমন কালো মেয়েকে কেই বা পছন্দ করবে। যদিও, কথায় আছে জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। কিন্তু, তাও সমস্যা।
সঠিক পাত্র পাওয়ার জন্য সময়ের অপেক্ষা করতে গিয়ে বয়সও যায় বেড়ে। ফলে, এক সমস্যা থেকে আরেক সমস্যার উত্থান হয়। শুধু তাই নয়। আজকাল নিজেকে সবসময় সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ। আপনি নারী হোন, বা পুরুষ, একটি সুন্দর মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই। আর তাই, নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে না চায়! জেনে নিন, ফর্সা হওয়ার বা ফর্সা থাকার কিছু টিপস।
অনেকেরই আক্ষেপ থাকে গায়ের রং নিয়ে। দিন যাপনের নানান আয়োজনে আমাদের প্রায় সবারই গায়ের রঙটা ময়লা হয়ে যায়। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শারীরিক অসুস্থতা, দীর্ঘসময় রান্নাঘরে কাজ করা ইত্যাদি নানান কারণে ত্বক হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। হয়ে যায় কালচে ও বিবর্ণ। রং ফর্সাকারী ক্রিমের কদর তাই কমে না কখনোই। কিন্তু আসলে সত্যিই কি এসব ক্রিমে গায়ের রং ফর্সা হয়?
মুখের রং হয়তো একটুখানি উজ্জ্বল হয়, কিন্তু পুরো শরীরের ত্বক? সেটা কিন্তু আসলে হয়ে ওঠে না। পার্লারগুলোতে আছে রঙ ফর্সা করার নানান আয়োজন। যেমন স্কিন ব্লিচ, ফেয়ার পলিশসহ আরও কত কী। কিন্তু জেনে রাখুন, এই সবই আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাহলে কী করবেন? ঘরোয়া পদ্ধতিতে গায়ের রং ফর্সা করার রয়েছে সহজ উপায়। শুধু তাই নয়, এভাবে যে ফর্সা রঙটা আপনি পাবেন সেটা হবে স্থায়ী। সৌন্দর্য সেটাই, যা ভেতর থেকে আসে। আসুন জানি প্রাকৃতিকভাবে রঙ ফর্সা করার দুটি পদ্ধতি।
রাতে মাত্র ৯ মিনিটে ত্বক ফর্সা করে ফেলুন ম্যাজিকের মত! ফর্সা হওয়ার নতুন টিপস
আমরা জন্মগত ভাবে সকলেই কিন্তু ফর্সা নয় কিংবা গায়ের রং কিন্তু ফর্সা নয়। অনেকের শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা, কালো ইত্যাদি সব মিলিয়ে এক এক জনের গায়ের রঙ এক এক রকম। অনেকে আবার গায়ের রঙ কালো আর চাপা এইটা নিয়ে মন খারাপ ও করে। বিভিন্ন ক্রিম লোশন ব্যবহার করে। আবার অনেকে ফর্সা হয়েও ধূলাবালি কিংবা ময়লার জন্যে মুখের ত্বক কালো হয়ে যায়। অর্থাৎ ত্বকের যত্ন না নেয়ার ফলে গায়ের আসল রঙ হারয়ে ফেলে। এরপরে বিভিন্ন ক্রিম লোশন ব্যবহার করে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। ক্যামিকেল থাকার কারণে অনেকের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। এর বিপরীতে আমরা কিন্তু চাইলে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন নিতে পারি। বিভিন্ন হোম মেইড ফেইস প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারি। সেগুলো আমাদের ফর্সা না করলেও ত্বক উজ্জ্বল ও টান টান করবে। আসুন জেনে নেই ত্বক ফর্সা করার কয়েকটি সহজ পদ্ধতি।
১। বেসন কিংবা লেবু এই ২ উপকরণ আমাদের কম বেশি সকলের ঘরে থাকে। রূপচর্চায় বেসন ব্যবহৃত হয়। আর লেবুতে থাকা ভিটামিন ও ত্বকের জন্যে উপকারী। এই বেসন আর লেবু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। এই প্যাক এর জন্যে আপনি প্রথমে ১টি বাটিতে ৩ চামচ বেসন সাথে ২ চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ হলুদ গুঁড়া ও সামান্য গোলাপ জল নিন।এবার সবকয়টি উপকরণ খুব ভালো করে একটি বাটিতে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণ টি মুখে মাখুন। মিশ্রণটা মুখে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটা আপনি সপ্তাহে দুদিন করে ব্যবহার করতে পারেন। এছাডা হলুদ বাটা ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এবং হলুদে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকে কোনো রকম দাগ হতে দেয় না।
২।টমেটো আর মধু রূপচর্চায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ। এই টমেটো আর মধু দিয়ে প্যাক বানিয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বক রোদে পুরে কালো হয় তারা এই টমেটো আর মধুর বানানো প্যাক আপনার ত্বককে ব্যবহার করতে পারবেন। এই প্যাক কড়া রোদের থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখবে। টমেটো আপনার ত্বকের এই পোড়া দাগ খুব ভালোভাবে হালকা করতে পারে। এই প্যাকের জন্যে একটি বাটিতে একটি টমেটোকে ব্লেন্ড করে পেস্ট করুন এবং এতে৪ চামচ মধু নিন তার সাথে এবার মধু মিশিয়ে ভালো করে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। এই প্যাক মুখে মেখে ২০ মিনিটের মতো রেখে দিন। তারপর গরম পানিতে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। দেখবেন মুখ সাথে সাথে তরতাজা ও পরিষ্কার লাগছে।
৩।মধু আর লেবুর রস ত্বক পরিষ্কার আর টান টান করতে বিশেষ উপকারী। মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করুন। এই প্যাকে লেবুর রস আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করে আর ত্বককে ডিটক্সিফাই করে। এর সাথে মধু খুব সুন্দর ভাবে আপনার মুখের ময়েশ্চার ধরে রাখে। এই ফেইস মাস্ক কিন্তু খুব ভালো কাজ করে। এই প্যাকটি বানাতে ১টি বাটিতে ২ চামচ মধু ও ২ চামচ লেবুর রস নিন। এরপরে দুটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। এরপরে অই প্যাক মুখে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখের উজ্জলতা ফিরে আসবে।
৪।পেঁপে আর ডিম দিয়ে বানানো ফেইস প্যাক ও আমাদের ত্বকের সুন্দর রাখতে ধারুণ কাজ করে। পেঁপে আর ডিমের মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করুন। পেঁপে আর ডিম একসাথে ব্যবহার করলে ত্বকের রঙ আস্তে আস্তে ফর্সা হয় আর কালো ভাব হালকা হবে। তার সাথে উজ্জ্বল ভাব রয়েছে। ডিমে রয়েছে প্রোটিন। যা ত্বককে টানটান রাখবে। এর সাথে আপনি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই দই আপনার ভিতরের স্কিন কে পরিষ্কার করে। এই প্যাক বানাতে প্রথমে ৩ চামচ পেপের রস এর সাথে ২ চামচ দই ৪ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ও ৩ চামচ আমন্ড অয়েল গ্লিসারিন এবং একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে নিন। এবার গ্লিসারিন আর ডিম ছাড়া বাকি সব উপাদান গুলোকে একটি বাটিতে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক এবার ফ্রিজে ২ঘন্টার মতো রেখে দিন।তারপর বের করে এতে গ্লিসারিন আর ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট মুখে লাগান আর ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
উপরে ৪টি পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। এই ৪টি পদ্ধতি গুলো আপনি যদি নিয়মিত ভাবে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন তাহোলে আপনি ফর্সা না হলেও ত্বকের উজ্জ্বলতা আর ঝৌলুস বাড়াবে
স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার দুটি প্রাকৃতিক উপায়
যুগে যুগে মানুষ নিজের সৌন্দর্য নিয়ে ভেবেছে। নিজেকে যাতে অন্যের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সেজন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না সৌন্দর্য সচেতনমাত্রেই।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা ব্যস্ত জীবনে সবসময় নিজের যত্ন ঠিকমতো নেওয়া খুবই মুশকিল। তা ছাড়া দিনদিন পরিবেশও দূষণযুক্ত হয়ে পড়ছে। এতে করে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখা আসলেই ভীষণ মুশকিল। অথচ নিজেকে সবসময় সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ। আধুনিকযুগে এ কথার সত্যতা অনস্বীকার্য। নারী বা পুরুষ, একটি সুন্দর মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই। আর তাই নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে না চায়!
সেই আদি যুগ থেকেই গায়ের রং নিয়ে মানুষের নানান চিন্তা। অনেকেরই কাম্য একটি ফর্সা সুন্দর ত্বকের। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শারীরিক অসুস্থতা, দীর্ঘসময় রান্নাঘরে কাজ করা ইত্যাদি নানান কারণে ত্বক হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। হয়ে যায় কালচে ও বিবর্ণ। রং ফর্সাকারী ক্রিমের কদর তাই কমে না কখনোই। কিন্তু আসলে সত্যিই কি এসব ক্রিমে গায়ের রং ফর্সা হয়? মুখের রং হয়তো একটুখানি উজ্জ্বল হয়, কিন্তু পুরো শরীরের ত্বক? সেটা কিন্তু আসলে হয়ে ওঠে না।
পার্লারগুলোতে আছে রঙ ফর্সা করার নানান আয়োজন। যেমন স্কিন ব্লিচ, ফেয়ার পলিশসহ আরও কত কী। কিন্তু জেনে রাখুন, এই সবই আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাহলে কী করবেন?
প্রাকৃতিক উপায়ে এবং ঘরোয়াভাবে গায়ের রং ফর্সা করার রয়েছে সহজ উপায়। শুধু তাই নয়, এভাবে যে ফর্সা রঙটা আপনি পাবেন সেটা হবে স্থায়ী। সৌন্দর্য সেটাই, যা ভেতর থেকে আসে। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিকভাবে রঙ ফর্সা করার দুটি পদ্ধতি।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনার বিন্দু মাত্র উপকারে আসে তাহলেই আমার এই লেখালেখি সার্থক হবে ।
সুস্থ থাকুন সব-সময়।