পাটশাকের নানা গুনাগুন এবং উপকারিতা
পাটশাকের নানা গুনাগুন এবং উপকারিতা
পাটশাকের কদর প্রায় সবার কাছে। এটি কেবল মুখরোচকই নয়, এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।পাটশাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, লোহা, ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন সি, ই, কে, বি-৬ এবং নিয়াসিন রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ক্যারোটিন এবং খাদ্য আঁশ। এসব উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখে ।
পাটশাকের গুণাগুণ বিশদ বলার আগে দেখে নেওয়া যাক এর পুষ্টি উপাদান।
১০০ গ্রাম খাবারের উপযোগী পাটশাকে রয়েছে ৮৩ দশমিক ৫ গ্রাম জলীয় অংশ, ১ দশমিক ৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৬২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ২ দশমিক ৬ গ্রাম আমিষ, ১২ দশমিক ৬ গ্রাম শর্করা ও ১১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
এসব পুষ্টি উপাদানের কারণে পাটশাক শরীরকে নানা রোগবালাই থেকে দূরে রাখে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
পাটশাকে বিদ্যমান পটাশিয়াম মানবদেহের শিরা–উপশিরার বিস্তৃতি বাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। এতে মানবদেহের উচ্চ রক্তচাপ দূর করতে সহায়তা করে।
ক্যানসার রোধ:
পাটশাকে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট শরীরে যেকোনো ধরনের ক্যানসার রোধে সহায়তা করে। হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা: পাটশাকে থাকা উপাদান রক্তের কোলস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায় ।
নিদ্রাহীনতা দূর:
পাটশাকে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন করে, যা স্নায়ুতন্ত্র শান্ত রাখে এবং নিরবচ্ছিন্ন নিদ্রা নিশ্চিত করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: পাটশাকের ভিটামিন এ, ই এবং সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন–সি রক্তের শ্বেতকণিকা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন-এ, ভিটামিন–ই চোখ, হৃৎপিণ্ড অন্যান্য অঙ্গের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
হাড়ের বৃদ্ধি:
প্রচুর পরিমাণ লোহা, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান হাড় গঠন ও ক্ষয়পূরণ করে এবং হাড় ভঙ্গুরতা রোধ করে। শক্তি সঞ্চালন: পাটশাকে প্রচুর পরিমাণ লোহা থাকে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। পাটশাকে থাকা লোহা দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং কর্মদক্ষতাও বৃদ্ধি করে। হজমশক্তি বৃদ্ধি: পাটশাকে থাকা খাদ্য আঁশ খাবার হজম–প্রক্রিয়াকে দারুণভাবে ত্বরান্বিত করে এবং পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ।
বাতব্যথা দূর:
পাটশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই রয়েছে। তাই গেঁটেবাত, আর্থরাইটিস এবং প্রদাহজনিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের জন্য পাটশাক একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ্য। বাড়ন্ত শিশুর পথ্য: পাটশাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম আছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বৃদ্ধির জন্য শিশুর খাদ্যতালিকায় পাটশাক থাকা জরুরি।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনার বিন্দু মাত্র উপকারে আসে তাহলেই আমার এই লেখালেখি সার্থক হবে ।
সুস্থ থাকুন সব-সময়।