লেটুস পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং লেটুস পাতা রেসিপি ৷ লেটুস পাতার উপকারিতা

লেটুস পাতার উপকারিতা

লেটুস পাতার বীজ কোথায় পাবো ও লেটুস পাতা খাওয়ার নিয়ম


লেটুস পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং লেটুস পাতা রেসিপি | Lettuce leaf eating rules and lettuce leaf recipes

লেটুস পাতা গাছ



লেটুস পাতার বৈজ্ঞানিক নাম লাকটুসা স্যাটিজ এল। আমাদের দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই লেটুস পাতা। এটি ভেজে  কাঁচা সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। লেটুস পাতার রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। 

লেটুস পাতার দাম

এটা সাধারণত ৩/৫ পিছ এ এক কেজি ওজন হয়। আর তিনি প্রতি পিস বিক্রি হয় ১৫-২০ টাকা করে।

লেটুস পাতা কোথায় পাওয়া যায়

মূলত এটি ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা লেটুসের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে। তবে বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে লেটুসের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী লক্ষ করা যাচ্ছে।

লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি

লেটুস এর চাষ জমিতে ও টবে খুব সহজেই চাষ করা সম্ভব। সাধারণত লেটুস চাষের জন্য খুব বড় টবের প্রয়োজন হয় না। পরন্ত বিকেলে চারা লাগাতে হয় চারা রোপণের সময় চারার গোড়ার মাটি খুবই হালকাভাবে চেপে দিতে হয় যাতে চারার নরম শিকড় চাপে ছিঁড়ে না যায়। চারা লাগানোর পর ৩ থেকে ৪ দিন ঢাকনী দিয়ে চারাকে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে হয় এবং সকাল-বিকাল চারার গোড়ায় পরিমাণমত পানি দিতে হয়।




আসুন জেনে নেওয়া যাক লেটুস পাতার পুষ্টিগুণ
 
১। লেটুসপাতা নিয়মিত খেলে বার্ধক্য আসে দেরিতে । এ পাতায় সোডিয়াম ভিটামিন-বি1, বি2,বি3 যা আপনার শরীরের যে কোনো অঙ্গে পানি জমে যাওয়া রোধ করে।
 
২। লেটুসপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এ দুটি উপাদান কোলেস্টেরলের অক্সিডেশনকে বাধা দেয় এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। ফলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।
 
৩। ঠান্ডাজনিত অসুখ হাঁচি, কাশি, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে সালাদে প্রতিদিন লেটুসপাতা খেতে পারেন।
 
৪। লেটুসপাতা ভিটামিন K এর উৎস। ভিটামিন K হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়। লেটুসপাতা দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
 
৫। ত্বকের কোথাও কেটে বা ছিঁড়ে গেলে লেটুসপাতা থেঁতলে ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা ভালো হয়ে যায়।
 
৬। লেটুসপাতায় ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ওজন সমস্যার সমাধানে এটি অনেক ভালো খাবার।
 
৭। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে লেটুসপাতার গুরুত্ব অনেক বেশি।
 
৮। লেটুসপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। লেটুসপাতা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যানমিয়া বা রক্তশূন্য রোগীদের জন্য লেটুসপাতা উত্তম খাবার।
 
৯। লেটুসপাতার পুষ্টি উপাদান হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায় লেটুসপাতা অনেক উপকারী।
 
১০। লেটুসপাতা খুশকি নিধনে কাজ করে। শ্যাম্পুতে লেটুসপাতা গুঁড়া ব্যবহার করা হয়।

১১। রোদে পোড়া ভাব দূর করতে লেটুপসাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়।



IT'S YOUR CODE (SP5752-007)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.