ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি

 ক্যাপসিকাম Capsicum/bell peppers

ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি 


ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি | Benefits of Capsicum and Capsicum Cultivation Methods



ক্যাপসিকাম সারা পৃথিবীতে মিষ্টি মরিচ নামে পরিচিত। ক্যাপসিকাম সবুজ, লাল, হলুদ, কমলা, চকলেট রঙের হয়ে থাকে। 

ক্যাপসিকামে অনেক ভিটামিন রয়েছে যেমনঃ- ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, বিটা-ক্যারোটিন, আলফা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬ ভিটামিন কে আছে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাপসিকাম ফুসফুস, কোলন, থলি এবং অগ্নাশয় ক্যান্সার থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম। 

 

ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি

ক্যাপসিকাম চাষের সময়

বীজ বপণের উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। তবে বর্তমানে ঘরোয়া ভাবে ১২ মাসই এটি চাষের চেষ্টা চলছে। ক্যাপসিকাম উৎপাদনের জন্য ১৬০-২৫০সে. তাপমাত্রা ও শুষ্ক পরিবেশ সবচেয়ে উপযোগী। রাতের তাপমাত্রা ১৬০- ২১০সে. এর কম বা বেশি হলে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ফুল ঝরে পড়ে, ফলন ও মান কমে যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে একেবারেই ফলন হয় না।

জাত

আমাদের দেশে আবাদকৃত জাতগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে–California Wonder, Tender Bell (F1)এবং Yolow Wonder ইত্যাদি । প্রতি বছর এগুলোর বীজ আমদানি করতে হয়। আমাদের দেশে California Wonder এর বীজ উৎপাদন করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি

ক্যাপসিকাম চাষ করার জন্য বাজার থেকে কেনা ক্যাপসিকাম থেকেই বীজ সংগ্রহ করতে পারেন ।ক্যাপসিকাম থেকে বীজ সংগ্রহ করতে চাইলে পরিপক্ক ক্যাপসিকাম থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। এরপর মাটি দিয়ে একটি পাত্র পূর্ণ করুন এবং বীজগুলি বপন করুন। আপনি যে কোন পাত্রে এই উদ্ভিদ লাগাতে পারেন, তবে গভীরতা কমপক্ষে ১২ থেকে ১৬ ইঞ্চি হতে হবে। উদ্ভিদ লাগানোর পরে, আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত জল দিন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এর থেকে বীজ অঙ্কুরিত হবে।

বীজ দিয়ে চাষ করতে চাইলে বীজ থেকে প্রথমে চারা তৈরি করে নিতে হয়। প্রতি শতকের জন্য ১ গ্রাম বীজ দরকার হয়। বীজগুলোকে ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে আগে থেকে তৈরি করে রাখা বীজতলায় ১০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাইন করে বীজ বুনতে হবে। 

বীজতলায় প্রয়োজনানুসারে ঝাঝরি দিয়ে হালকাভাবে সেচ দিতে হবে। বীজ গজাতে ৩-৪ দিন সময় লাগে। বীজ বপনের ৭-১০দিন পর চারা ৩-৪ পাতা বিশিষ্ট হলে ৯-১২ সে.মি. আকারের পলি ব্যাগে স্থানান্তর করতে হবে। পটিং মিডিয়াতে ৩:১:১ অনুপাতে যথাক্রমে মাটি, কম্পোস্ট এবং বালি মিশাতে হবে। পরে পলিব্যাগ ছায়াযুক্ত স্থানে স্থানান্তর করতে হবে, যাতে প্রখর সূর্যালোকে এবং ঝড় বৃষ্টি আঘাত হানতে না পারে।

সার ব্যবহার

সারের জন্য শাকসব্জী এবং ফলের খোসা পচা জল, পাতা পচা ইত্যাদি মাটিতে প্রয়োগ করতে পারেন। এগুলি মাটির গুণমানকে উন্নত করে এবং উদ্ভিদকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।


আর যদি জমিতে চাষ করা হয় তাহলে মিষ্টি মরিচ চাষে প্রতি শতাংশে গোবর ৪০ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ১.৪ কেজি, এমপি ১ কেজি, জিপসাম ৪৫০ গ্রাম এবং জিংক অক্সাইড ২০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর, টিএসপি, জিংক অক্সাইড, জিপসাম, ১/৩ ভাগ এমপি এবং ১/৩ ভাগ ইউরিয়া চারা রোপণের গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ২/৩ ভাগ ইউরিয়া এবং এমপি পরবর্তীতে দুই ভাগ করে চারা লাগানোর যথাক্রমে ২৫ এবং ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।

ফসল সংগ্রহ

মিষ্টি মরিচ সাধারণত পরিপক্ক সবুজ অবস্থায় লালচে হওয়ার আগেই মাঠ থেকে উঠানো যায়। সাধারণত সপ্তাহে একবার গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ গাছে একবারে প্রায় ৪ থেকে ৫ টি ক্যাপসিকাম আসে। একবার গাছ ভালো করে বিকশিত হয়ে গেলে প্রথম যখন ফল আসবে তখন তা সংগ্রহ না করাই ভালো। এতে গাছ দৃঢ় হয়।

দ্বিতীয়বার থেকে ফল সংগ্রহ করাই ভালো। ফল সংগ্রহের পর ঠান্ডা অথচ ছায়াযুক্ত স্থানে বাজারজাতকরণেল পূর্ব পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হয়। তবে ফল সংগ্রহের সময় প্রতিটি ফলে সামান্য পরিমাণে বোটা রেখে দিতে হবে।

ক্যাপসিকাম এর বাংলা কি

ক্যাপসিকাম সারা পৃথিবীতে মিষ্টি মরিচ নামে পরিচিত। আসলে ক্যাপসিকাম অনেক সময় নিজের নাম পরিবর্তন করে না অনেকটা টেবিল শব্দটির মতই।

ক্যাপসিকাম বীজের দাম

২০ পিছ বীজের দাম ১০০ টাকা। এই দাম আমাদের দেশে অন্যান্ন দেশে একটু কম।

ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম

এটা ইচ্ছা করলে আপনি আর দশটা ছেলের মত খেতে পারেন। এছাড়া এটা সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে পারেন।

 ক্যাপসিকাম এর স্বাদ কেমন

ক্যাপসিকাম সারা পৃথিবীতে মিষ্টি মরিচ নামে পরিচিত। এটা সাধারণত মিষ্টি হয়ে থাকে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.