মানসিক রোগ সমূহ এবং মানসিক রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা By Healthybangaly

 মানসিক রোগ

মানসিক রোগ কি ভালো হয়  মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ কি

মানসিক রোগ সমূহ এবং মানসিক রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা


মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ

প্রত্যক্ষকরণ বা উপলদ্ধিঃ

হ্যালুসিনেশন কি?

ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে আমরা সব কিছু প্রত্যক্ষ করে থাকি। এই প্রত্যক্ষকরণ বা উপলদ্ধিতে অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলে সেটাকে মানসিক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় । 

উপলদ্ধিগত অস্বাভাবিকতা দু-ধরনের হতে পারে - ইল্যুশন ও হ্যালুসিনেশন

অস্বাভাবিক আবেগঃ

একজন সুস্থ ব্যক্তি এবং একজন অসুস্থ ব্যক্তি একই উপায়ে তাদের আবেগ অনুভব প্রকাশ করতে পারে না। বিভিন্ন কারণে আবেগের পরিবর্তন ঘটে - তবে সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী বলা যায় না। যাদের পরিবর্তনটা স্থায়ী হয়ে পড়ে তারা মানসিকভাবে অবশ্যই অসুস্থ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবেগের অস্বাভাবিকতার ক্ষেত্র তৈরি হয়। যেমন: বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা, বিরক্তি।

বুদ্ধি কম হওয়াঃ

মানসিক রোগীদের বুদ্ধি সাধারণত লোপ পায়। একটি জিনিসকে বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লষণ করার ক্ষমতা তাদের কমে যায়। এছাড়া নিজের মুখে বলা কথাটি ও খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভুলে যায়।

ভুলে যাওয়াঃ

একটি লোক কোথা থেকে আসছে জিজ্ঞেস করলে ভিন্ন উত্তর পাওয়া যায়। সে ইচ্ছে করে মিথ্যে বলে না। আসলে সে নিজেই সব ভুলে যায়। এটাই হল মানুসিক রোগীর একটি কমোন সমস্যা, যেটা সব মানুসিক রোগীর মধ্যেই পাওয়া যায়।

মুদ্রাদোষঃ

মুদ্রাদোষ কি ?

একই কথা বার বার বলা, একই অঙ্গ বার বার সঞ্চালন করাকে মুদ্রাদোষ বলে। মানসিক রোগীদের মধ্যে এই উপসর্গগুলো বেশী দেখা যায়।

মানসিক জটিলতাঃ

এটা এমন এক অবচেতন ধারনা যা আবদমিত ইচ্ছা বা আবেগজনিত অভিজ্ঞতার সাথে সম্পৃক্ত এবং আচরণে যার বহির-প্রকাশ ঘটে। যেমন: সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স, ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স, ইলেকট্রা কমপ্লেক্স, ঈপিডাস কমপ্লেক্স ইত্যাদি।

সন্দেহপ্রবণতাঃ

মানসিক রোগীদের মধ্যে মারাত্মক সন্দেহপ্রবণতা দেখা যায়। বন্ধুদের বা আশেপাশের মানুষদের সে শত্রু বলে মনে করে। তার বিরুদ্ধে সবাই চক্রান্তে লিপ্ত এমনটি সে মনে করে। সহজেই কাউকে দোসারফ করে।

অ-কারণে ভয় পাওয়াঃ

মানসিক রোগীরা অহেতুক ভয়ের শিকার হয়। অনেকে ছোট ও নিরীহ প্রাণী দেখে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে। অন্ধকার বা নির্জনতায় আতংকগ্রস্ত দেখা যায়। অনেকে অন্যের সামনে কথা বলতেও পারে না। 

রোগভিতীঃ

 কোন প্রকার রোগ ব্যাধি ছাড়াই মনে করে সে কোন দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।

শুচীবায়ঃ

মানসিক রোগীদের মধ্যে শুচিবায়ুগ্রস্ততা পরিলক্ষিত হয়। যেমনঃ সে ঘন্টার পর ঘন্টা হাত-মুখ ধুচ্ছে তো ধুচ্ছেই - মনে হয় তারপরও ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে না।

মানসিক রোগ কি বংশগত ?

না মানসিক রোগ বংশগত খুব কমই হয়,বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন চাপে পড়ে মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়।

মানসিক রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি

জৈব বা রাসায়নিক কারণে যদি মানসিক রোগ হয় তবে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। অন্যদিকে ধরুন যদি সাংসারিক অশান্তি, পিতা-মাতার গোলমাল কিংবা স্কুলের চাপের কারণে মানসিক রোগ দেখা দেয় তা হলে চিকিৎসার সময় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ধরণের রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে আচরণগত বিষয় উপদেশ দিতে হবে। তার সাইকো থেরাপি বা বিহেভিয়ার থেরাপির দরকার হবে।

মানসিক রোগ প্রতিহত করাও সম্ভব। রোগের বায়োলজিক্যাল ও জেনেটিক কারণগুলো খতিয়ে দেখার মাধ্যমে তা করা সম্ভব। সন্তান জন্মের আগে এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব। সন্তান জন্মের পরও করা সম্ভব। এ ছাড়া, অন্যদিকে রোগীর পুনর্বাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে ডাক্তাররা মনে করেন। 

ওষুধসহ সাইকো বা বিহেভিয়ার থেরাপির মাধ্যমে যে রোগীর রোগ মুক্ত হলো সে যেন পুরনো কাজে ফিরে যেতে পারে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এই নিশ্চয়তাটি চিকিৎসার জন্য বেশ প্রয়োজনীয় তা মনে রাখতে হবে।

মনোরোগ দেহের রোগের মতই একটি রোগ, সে সম্পর্কে এই অ্যাপ হতে আমরা সবাই নিশ্চিত হতে পেরেছি। তাই কারো মনোরোগ হয়েছে শুনলে তাকে মানসিক ডাক্তার দেখাবেন। একাজে ভয়, লজ্জা বা শরমের কিছু নেই।

মানসিক রোগের ভিন্ন চিকৎসাঃ

যাদের এই সমস্যা থাকে বা আছে তাদেরকে ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণ একজন মানসিক রোগীর জন্য খুবই উপকারী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.