ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তির উপায়
ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ ও বগলের গন্ধ কমানোর উপায়
ঘামের দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ
বাতাসে আর্দ্রতা বেশি হওয়ার কারণে ঘামও হয়। যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, এই সময়টা তাঁদের বিশেষভাবে সচেতন থাকা দরকার।
ঘামের দুর্গন্ধ যাতে আপনার লজ্বার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, তার জন্য দরকার নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। তেমনি কিছু নিয়ম তালিকা করে দেওয়া হয়েছে নিচে। যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে আর ঘামের দুর্গন্ধ নিয়ে ভাবতে হবে না।
বাড়িতে থাকলে নিয়মিত দুইবার গোসল করুন, যাতে শরীরে ঘাম জমতে না পারে। এসেনশিয়াল বা স্যাবলোন তেল জলে কয়েক ফোঁটা দিয়ে গোসল করতে পারেন। ফটকিরি জলে ডুবিয়ে রেখে সেই জলেও গোসল করা যায় তবে ফিটকেরি পরিমাণ কম রাখা ভাল। জলে ভেজানো ফটকিরি বগলের কাছে ঘষলে ঘামের দুর্গন্ধ কমে যাবে।
পোশাকের ক্ষেত্রেও বেছে নিন সুতির পোশাক বা এমন কোন পোশাক যা আপনার ঘাম শুষে নিতে সক্ষম।
প্রতিদিনের খাবারে রাখুন প্রচুর পরিমাণে জল এবং সবুজ পাতাযুক্ত সবজি।
এসেনশিয়াল অয়েল কি
ল্যাভেন্ডার, রোজ়, অরেঞ্জ, জ্যাসমিন, স্যান্ডালউড, লেমন এবং নেরোলি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন আদর্শ এসেনশিয়াল অয়েল।
গসোলের পর যদি পারফিউম লাগাতে অভ্যস্ত হন, তাহলে তার উপর হালকা করে প্রাকৃতিক বডি মিস্ট লাগিয়ে নেবেন। বিশেষ করে ঘাড়ের কাছে এবং হাতের কবজিতে মিস্ট লাগাতে ভুলবেন না।
গ্রীষ্মকালের আরও একটি সমস্যা হল গুটি গুটি লালচে ফুসকুড়ি ও চুলকানি। যেখানে এরকম হয়েছে সেখানে পানির সঙ্গে চন্দন পাউডার গুলে দু’ ফোঁটা চন্দনের তেল দিয়ে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। এতে ফুসকুড়ি এবং চুলকানি দুটোরই দুর হবে।
দুপুরবেলা চড়া রোদে বাইরে যেতে হলে বাড়ি ফিরে এসে এক মগ ঠান্ডা জলে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে শরীরের উন্মুক্ত অংশ যেমনঃ- ঘাড়ে, গলায়, মুখে এবং হাতে লাগান। তারপর গসোল করে নিন।
আরো পড়ুন👉 মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়।
সানবার্নই কমাতেঃ
অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নেরোলি অয়েল মিশিয়ে রোদে পোড়া অংশে লাগাতে পারেন। এতে শুধু সানবার্নই কমবে না, ঘামের দুরগন্ধও দূর হবে।
বগলে গন্ধ দূর করার উপায়
শার্ট ধোয়ার পর বগলে গন্ধ হয় কেন
আসলে শার্ট ধোয়া বা না দেওয়ার কাছে বগলের গন্ধোর যে বিষয়টা এটা কোনভাবেই নির্ভর করে না,এই গন্ধটা আসে আপনার শরীর থেকে।
বগলের লোম কি গন্ধের কারণহ্যা হতেও পারে তবে নিজেকে সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন।
বগল হলুদ হয় কেনআসলে হলুদ হওয়ার যে কারণ এটা অনেক সময় দেখা যায় শরীরে যদি এলার্জি থাকে বা যদি জন্ডিসের কোন ভাব আসে তো সেক্ষেত্রে অনেক সময় অনেকটা হলুদ দেখায়।
আসলে কালো হওয়ার যে বিষয়টা সেটা হলো শরীরে তাপের কারণে। তো এইখানে যদি আপনি মনে করেন এমন কোন পোশাক ব্যবহার করবেন যেটা আপনার বগল প্লাস হাত এই দুইটার ভিতরে একটা পার্টিশন তৈরি করবে যদি এই ধরনের পোশাক ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন যে কালোটা আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে এবং আর কখনো কালো হবে না।
ধূমপান করবেন না। অতিরিক্ত চা-কফি বা অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটাও এড়িয়ে চলতে হবে। একেবারেই ছাড়তে না পারলে কমিয়ে দিবেন।
বগলের চুল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এই অংশটি খুব চাপা তাই এখানেই সবচেয়ে বেশি ঘাম জমে। সুতরাং; রেগুলার বগলের চুল পরিষ্কার করতে হবে।
আরো পড়ুন👉 ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধ।
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিওপ্যাথি
- Palsatilla
- Bovista
- Sulfar
- Conium
- Kali Sulf
- Camomila
ঘামের দুর্গন্ধ রোধ করার ঘরোয়া উপায়
লেবুর রস আপনার ত্বককে তেলমুক্ত, তরতাজা এবং পরিষ্কার রাখে। সাধারণত আন্ডারআর্মসেই ঘাম এবং দুর্গন্ধ বেশি হয় তাই সেখানে এক টেবিলচামচ বেকিং সোডা এবং লেবুর রস মিশিয়ে সেখানে লাগান। শরীরের অন্যান্য অংশে যদি ঘাম বেশি হয় সেখানেও এই প্রলেপ ব্যবহার করতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এই প্রলেপটি ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশি ব্যাবহারে ক্ষতি হতে পারে তাই সাবধানতা অবল্বন করবেন।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনার বিন্দু মাত্র উপকারে আসে তাহলেই আমার এই লেখালেখি সার্থক হবে ।
সুস্থ থাকুন সব-সময়।