চুলের যত্নে পুষ্টিকর খাবার ও চুলের জন্য উপকারী উপাদান

চুলের জন্য উপকারী উপাদান

চুলের যত্নে পুষ্টিকর খাবার

কোন ভিটামিনের অভাবে মাথার চুল পড়ে যায় চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু সবচেয়ে ভালো চুলের জন্য ক্ষতিকর উপাদান চুলের জন্য কোন তেল ভালো চুলের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের পুষ্টি চুলের জন্য উপকারী উপাদান চুলের উপাদান


চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে। কিন্তু কখনো ভাবে না যে পুষ্টিকর খাবার খেলেও চুলের অনেক উপকার হয় ।  চুল পড়ার অনেক কারণ থাকে, চুল পেকে যাওয়ার, অনেক কারণ থাকে সেগুলোর উৎপত্তি কোথা থেকে, সেটাই অনেকে জানেনা। আপনার জমির উর্বরতা যদি নষ্ট হয়ে যায় সেখানে ভালো ফসল আশা করা যায় না । ঠিক তেমনি আপনার শরীরে যদি প্রয়োজনীয় ভিটামিন মিনারেল গুলো না থাকে তাহলে আপনার চুল গুলো নষ্ট হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।

সেই কথায় বিবেচনা করে আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে এই বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি কিছু পুষ্টিকর খাবারের লিস্ট আমি করেছি সে বিষয়গুলো একটু পড়ে নিন।

পালংশাকঃ

পালংশাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, আয়রন, বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট ও ভিটামিন সি। মাথার  ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো চুলের ময়েশ্চার ঠিক রাখে তাই সহজে চুল ভাঙে না।

পেয়ারাঃ

পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এটি চুল ভেঙে যাওয়া ঠেকায়। 

এক কাপ পেয়ারার রসে থাকে ৩৭৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। প্রতিদিন মানুষের শরীরে যে পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়, তার চেয়ে এটি চার গুণ বেশি বলে জানা গেছে।

গরুর মাংসঃ

গরুর মাংসে লৌহ বা আয়রন বেশি  থাকে। চুল পড়া রোধে কাজ করে এটি। এ ছাড়া মসুরের ডাল ও সয়াবিনেও লৌহ বা আয়রন পাওয়া যায়।

মুরগির মাংসঃ

শরীরে আমিষের পরিমাণ কম থাকলে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। তখন ধীরে ধীরে চুল পড়ে থাকে। আমিষ পাওয়ার সহজ উৎস হলো মাংস। বিশেষ করে মুরগির মাংসে আমিষ থাকে বেশি।

মিষ্টি আলুঃ

চুল বেশি শুকনো থাকলেও সমস্যা দেখা দেয়। এতে চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়। এর প্রতিরোধে প্রয়োজন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন। মানুষের শরীর এই বিটা ক্যারোটিনকে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। এটি মাথার খুলির ওপরের চামড়ায় সেবাম নামের একধরনের তরল পদার্থ নিঃসরণ করে, যা চুলের শুকিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। মিষ্টি আলুতে বিটা ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। এছাড়া গাজর, মিষ্টি কুমড়া ও আমে ও বিটা ক্যারোটিন থাকে

ডিমঃ

চুলের বৃদ্ধিতে প্রয়োজন আমিষ ও লৌহ। ডিম খেলে এই দুইয়ের অভাবই পূরণ হায়। ডিমে বেশি পরিমাণে বায়োটিন বা ভিটামিন বি থাকে। বায়োটিন চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণে না থাকলে চুল পড়া বেড়ে যায়।

দারুচিনিঃ

শরীরের রক্তপ্রবাহে দারুণভাবে সহায়তা করে এটি। এতে চুলের গোড়া বা রোমকূপ প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি পায়। দারুচিনি এবং মধুর মিশ্রন আপনারা প্রতিদিন নিয়মিত খেতে পারেন।

আরো পড়ুন

দারুচিনি ও মধুর মিশ্রণ এর জাদুকরী উপকারিতা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.