মেয়েদের ঋতুস্রাব কখন হয়
মেয়েদের ঋতুস্রাব/পিরিয়ড স্বাভাবিক নিয়মে হওয়ার লক্ষণ সমূহ
ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড হলো প্রতিটি নারীর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে এই প্রক্রিয়াতে যার ফলে একজন নারীর বন্ধ্যাত্ব সমস্যাও হতে পারে। তবে কী করে বুঝবেন আপনার ঋতুস্রাবটি স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে?
ঋতুস্রাব স্বাভাবিক হওয়ার কিছু লক্ষণ :-
- হালকা মাথাব্যথা হবে
- ক্ষুধা লাগবে
- শারীরিক অনুভূতি দৃঢ় হবে
- খিটখিটে মেজাজ থাকবে
- মুখে ব্রণ হতে পারে
- মাঝে মাঝে বমি ভাব হতে পারে
- ঘুমের সমস্যা হতে পারে
ঋতুস্রাবের সময়কাল :- প্রায় সব নারীরই এই ঋতুস্রাব হওয়ার সময়কাল হয়ে থাকে ৩-৫ দিন পর্যন্ত। কিন্তু এর স্বাভাবিক সময়কাল হল কমপক্ষে ২ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭ দিনের একটু বেশি সময় ধরে অল্প অল্প করে রক্তস্রাব হওয়াটা স্বাভাবিক তবে যদি রক্তপ্রবাহ অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে তা অবশ্যই অস্বাভাবিক।
রক্তপ্রবাহের পরিমাণ :- একেকজন নারীর ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে এই ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। কারও অনেক কম হয়ে থাকে, কারও অনেক বেশি হয়ে থাকে আবার কারও মাঝামাঝি পর্যায়ে হয়ে থাকে। স্বাভাবিক রক্তস্রাবের পরিমাণটি কেমন তা জানা দরকার। অল্প অল্প করে দিনে কয়েকবার হওয়াটা স্বাভাবিক। দিনে ৩ টা প্যাড পরিবর্তন করাটাও স্বাভাবিক। তবে মধ্যরাতে একই পরিমাণ প্যাড পরিবর্তন করাটা অস্বাভাবিক।
কেননা স্বাভাবিক নিয়মেই রাতে ঋতুস্রাব একটু কম হয়ে থাকে অনেকেরই। কারণ শারীরিক পরিশ্রমের উপরে এর পরিমাণ বাড়তে পারে, রাতে পরিশ্রম একেবারেই হয় না বলে এর পরিমাণও কম হয়ে থাকে। ঋতুস্রাবের প্রথম কয়েকদিন এর প্রবাহ একটু বেশি থাকবে এটি স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে প্রতি ঘন্টা বা প্রতি ২ ঘন্টায় প্যাড পরিবর্তন করাটা অস্বাভাবিক। এমন অস্বাভাবিকতা দেখামাত্র ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া একান্ত জরুরি।
পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল :- স্বাভাবিকভাবেই জানা যায় যে বর্তমান ঋতুস্রাব থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল হয়ে থাকে ২৮ দিন। তবে গবেষণায় উঠে এসেছে যে এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। বর্তমান ঋতুস্রাব থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময়কাল ২১ দিন থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এই সময়কাল ২১ দিনের কম এবং ৩৫ দিনের বেশি হওয়াটা অস্বাভাবিক। তবে ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে যে কোন জটিলতায় অভিজ্ঞ কোনো হোমিও ডাক্তারের স্মরনাম্পন্ন হন।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনার বিন্দু মাত্র উপকারে আসে তাহলেই আমার এই লেখালেখি সার্থক হবে ।
সুস্থ থাকুন সব-সময়।