হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ || homeopathic medicine By Healthybangaly

 হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কি


হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ ভারতীয় হোমিও চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি ঔষধ

হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ পুরুষত্বহীনতার হোমিও চিকিৎসা ভারতীয় হোমিও চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি ঔষধ হোমিওপ্যাথি কি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই pdf হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কতটুকু বিজ্ঞান সম্মত কলকাতা হোমিও চিকিৎসা


হোমিওপ্যাথি কি


হোমিওপ্যাথি 
একটি প্রাকৃতিক নীতিভিত্তিকচিকিৎসা পদ্ধতিএর মূলকথা হলোঃ

সুস্থাবস্থায় কোন ক্রুড ঔষধ স্থূল মাত্রায় সেবনকরলে মানবদেহ  মনে যে সব অসুস্থ্যকরলক্ষণ  প্রকাশ পায় অনুরূপ লক্ষণযুক্ত প্রাকৃতিক অসুস্থতায় উক্তঔষধের শক্তিকৃত সূক্ষমাত্রা প্রয়োগ করেসেই অসুস্থতা বা রোগ লক্ষণ দূর করা


ভারতীয় হোমিও চিকিৎসা

প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে

এখানে ঔষধ রোগীর দেহে যে পরিমানে ক্রিয়া করেজীবনী শক্তি দেহে অনুরূপবিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে রোগকে তাড়ায়

হোমিওপ্যাথিতে রোগ আরোগ্য নিম্নোক্ত নীতি অনুসারে করতে হয়ঃ

  • সদৃশ্য বিধানে আরোগ্য সাধন
  • শক্তিকৃত ঔষধ প্রয়োগ
  • একবারে একটিমাত্র ঔষধ প্রয়োগ করা
  • অতি ক্ষুদ্র বা সূক্ষ্ম মাত্রায় ঔষধ প্রয়োগ
  • রোগের নাম ধরে নয়রোগীর লক্ষণসমষ্টি দিয়ে চিকিৎসা করা
  • চিকিৎসা আংশিক নয় (অর্থাৎ কেবল বিশেষ অঙ্গের রোগ সারানো নয়),সমগ্রভাবে করা (অর্থাৎ দেহ-মানের সামগ্রিক কষ্টকর লক্ষণ দূর করা)

হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ

এপেন্ডিসাইটিস এর চিকিৎসা

Appendicitis: (এপেন্ডিসাইটিস) : সাধারণত নাভীর নীচে ডানপাশে তলপেটের তীব্র ব্যথাকে এপেন্ডিসাইটিস বলা হয়। এই পজিশনে এপেন্ডিক্স (Appendix) নামে একটি কেঁচোর মতো একটি অংশ আছে ; ইহাতে ইনফেকশন / প্রদাহ হওয়াকেই এপেন্ডিসাইটিস বলা হয়। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো প্রথমে ব্যথা (তলপেটের ডানপাশে), তারপরে হয় বমি এবং শেষে হয় জ্বর। সমস্ত পেটই এতো সেনসেটিভ হয় যে, হালকাভাবে স্পর্শ করলেও রোগী ব্যথা পায়। এপেন্ডিসাইটিসের একটি প্রধান লক্ষণ হলো, রোগীর পেটে জোরে চাপ দিয়ে হঠাৎ চাপ ছেড়ে দিলে (Rebound tenderness) রোগী প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে থাকে। সে যাক, এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা ৯৯% ভাগ ক্ষেত্রেই অপারেশান ছাড়া এপেন্ডিসাইটিস সারাতে পারে না কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে ১০০% ভাগ কেইস-ই বিনা অপারেশানে সারানো যায়।

Bryonia alba : এপেন্ডিসাইটিসের সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো ব্রায়োনিয়া। কেননা -চাপ ছেড়ে দিলে ব্যথা হয়- এই অদ্ভূত লক্ষণটি ব্রায়োনিয়ায় আছে। সাধারণত ৫০,০০০ (বা 50M), ১০০,০০০ (বা CM) ইত্যাদি উচ্চ শক্তিতে এক মাত্রা খাওয়ানোই যথেষ্ট ; কিন্তু নিম্ন শক্তিতে খেলে রোজ কয়েকবার করে কয়েকদিন খাওয়ানো লাগতে পারে।

Iris tenax : ইরিস টেনক্সকে বলা হয় হোমিওপ্যাথিতে এপেন্ডিসাইটিসের একেবারে স্পেসিফিক ঔষধ। কেননা ইহা যত মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই তলপেটের ডানপাশে তীব্র ব্যথার লক্ষণ পাওয়া গেছে।
* ব্যাপারটি এমন নয় যে, আপনি কেবল ব্রায়োনিয়া আর ইরিস টেনক্স নিয়ে পড়ে থাকবেন। এই দুটি ছাড়াও যদি অন্য কোন ঔষধের লক্ষণ রোগীর মধ্যে পাওয়া যায়, তবে সেটি প্রয়োগেও এপেন্ডিসাইটিস অবশ্যই আরোগ্য হবে। তবে কথা হলো ব্রায়োনিয়া এবং ইরিস টেনক্স ঔষধ দুটির কথা প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে।

Appetite disorder: (ক্ষুধার সমস্যা) : ক্ষুধার সমস্যা দুই ধরণের হতে পারে। ক্ষুধা একেবারে কম হওয়া যেমন একটি রোগ তেমনি ক্ষুধা খুব বেশী হওয়াটাও রোগের মধ্যে পড়ে।

Iodium : আয়োডিয়াম ঔষধটি রাক্ষসের মতো ক্ষুধা তৈরী করতে পারে। আয়োডিয়ামের লক্ষণ হলো প্রচুর খায় কিন্তুতারপরও দিনদিন শুকিয়ে যেতে থাকে এবং গরম সহ্য করতে পারে না। যাদের ক্ষুধা খুব বেশী তারা এটি খেলে ক্ষুধা কমে আসবে। অন্যদিকে যাদের ক্ষুধা খুবই কম তারা খেলে ক্ষুধা বেড়ে যাবে। খেতে হবে নিম্নশক্তিতে (Q,৩, ৬) পাঁচ ফোটা করে রোজ তিনবার।

Alfalfa : আলফালফা ঔষধটি নিয়মিত অনেকদিন খেলে ক্ষুধা, ঘুম, ওজন, হজমশক্তি ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। নিম্নশক্তিতে (Q) দশ ফোটা করে রোজ তিনবার করে খেতে পারেন। দ্রুত ওজন বাড়াতে চাইলে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ-ষাট ফোটা করে খেতে পারেন। তবে কোন সমস্যা হলে কমিয়ে খাওয়া উচিত। ইহার স্বাদ যেহেতু খারাপ সেহেতু শিশুদেরকে চিনি বা গুড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।


হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কতটুকু বিজ্ঞান সম্মত


Nux vomica : নাক্স ভমিকা ঔষধটি ক্ষুধা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী ঔষধ। যারা পরিশ্রমের কাজ কম করে কিন্তুটেনশন বেশী করে, দিনের বেশীর ভাগ সময় চেয়ারে বসে থাকে, সারা বছরই পেটের গন্ডগোল লেগেই থাকে, শীত সহ্য করতে পারে না.....এই ধরণের লোকদের ক্ষেত্রে নাক্স ভমিকা ভালো কাজ করে।

Calcarea carbonica : ক্যালকেরিয়া কার্ব নামক ঔষধটি হলো হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে ভালো ভিটামিন। এটি ক্ষুধাহীনতা, অজীর্ণ, বদহজম, পেটের আলসার, ঘনঘন অসুখ-বিসুখ হওয়া, শারীরিক দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, ব্রেনের দুর্বলতা, অপুষ্টি ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে পারে।

সাবধানতাঃ

সকল প্রকার চিকিৎসা নেওয়ার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। অভিজ্ঞ ডাক্তার তারা কখনোই ওষুধ সেবন করবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.