ফিস্টুলা হোমিও ঔষধ ও ফিস্টুলা কি কারনে হয় ও ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা By Healthybangaly

ফিস্টুলা কি কারনে হয়

ফিস্টুলা হোমিও ঔষধ ও ফিস্টুলা কি কারনে হয় ও ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা 

ফিস্টুলা হোমিও ঔষধ ও ফিস্টুলা কি কারনে হয় ও ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

ফিস্টুলা রোগের ছবি

ফিস্টুলা বা ভগন্দর পায়ুপথের একটি রোগ। রোগটিরজন্ম হয় মলদ্বারের বিশেষ ধরনের সংক্রমণেরকারণে।মলদ্বারের ভেতরে অনেকগুলো গ্রন্থি রয়েছে।এগুলোর সংক্রমণের কারণে ফোঁড়া হয়। এক সময় এই ফোঁড়া পেঁকে যায় এবং ফেটে গিয়ে মলদ্বারের চতুর্দিকের কোনো এক স্থানের একটি ছিদ্র দিয়ে পুঁজ নির্গত হতে থাকে। মলদ্বারের আশেপাশের কোনো স্থানে এক বা একাধিক মুখ দিয়ে মাঝে মাঝে পুঁজ বের হয়ে আসাকে ফিস্টুলা বা ভগন্দর বলা হয়। মলদ্বারের ক্যান্সার এবং বৃহদান্ত্রের প্রদাহজনিত রোগেও ফিস্টুলা হয়ে থাকে।


মলদ্বারের যক্ষ্মার কারণেও ফিস্টুলা হতে পারে।

ফিস্টুলার প্রকারভেদ


ফিস্টুলা সাধারণতঃ

দুটি পর্যায়ের হয়ে থাকে।
একটি সাধারণ ফিস্টুলা, এটি মলদ্বারের মাংসপেশির খুব একটা গভীরে প্রবেশ করে না। ফলে এর চিকিৎসা তুলনামূলকভাবে সহজসাধ্য।
আরেকটি হলো জটিল ফিস্টুলা। এর বিভিন্ন  প্রকারভেদ রয়েছে। এটা নির্ভর করে এর শেকড় মলদ্বারের মাংসের কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে।


এপর্যায়ে চিকিৎসার প্রধান সমস্যা হচ্ছে সঠিকভাবে অপারেশন করতে ব্যর্থ হলে রোগী মল আটকে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।

ফিস্টুলার লক্ষণঃ


ফিস্টুলা বা ভগন্দর রোগের লক্ষণ মূলত তিনটি।

১. মলদ্বার ফুলে যাওয়া,
২. মলদ্বার ব্যথা হওয়া,
৩. পুঁজ বা আঠাল পদার্থ বের হওয়া।
এছাড়াও সব সময় অশান্তি আরও একটা প্রধান লক্ষন ।


ফিস্টুলা পরীক্ষাঃ


রোগ নির্ণয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়।

যেমন –
১. প্রক্টস্কপি, সিগময়ডস্কপি
২. কোলনস্কপি
৩. বেরিয়াম এক্স-রে
৪. ফিস্টুলো গ্রাম
৫. এনাল এন্ডোসনোগ্রাফি


চিকিৎসাঃ


অনেক রোগীরই ফোঁড়া ফেটে গিয়ে পুঁজ বের হয়ে গেলে ব্যথা এবং ফোলা কমে যায়। সমস্যা একটানা না থাকার কারণে অনেকেই ভাবেন, হয়তো ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু মাস দুয়েকের ভেতর আবার সমস্যা দেখা দেয়। তাই সমস্যার প্রথমদিকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। লক্ষন অনুযায়ি নিম্নলিখিত ঔষধ প্রয়োগ করা যেতে পারে ।


Silicea - 30 । হতে ক্রমান্বয়ে উচ্চশক্তি উক্ত  রোগের উৎকৃষ্ট ঔষধ । এর পুঁয দুর্গন্ধযুক্ত এবং পাতলা । খোঁচামারার ন্যায় বেদনা হয় ।

Heper Sulfer - 3x, 6, 30 । এতে অত্যন্ত বেদনা এবং কিছুদিন থেকে হঠাৎ সেই বেদনা স্ফোটকে পরিণত হলে Heper প্রয়োগে খুব শীঘ্র ফোড়া ফেটে যায়, এবং রোগী উপশম লাভ করে ।

Myristica -3x । এর বেদনা যন্ত্রনা Heper থেকে অনেক বেশি প্রবল । যদি Heper এ উপশম না হয়, তবে ইহা প্রয়োগে রোগী উপশম বোধ করবে । তবে মনে রাখতে হব, Heper এর আগে Myristica কখনও প্রয়োগ করা যাবেনা ।

Acid Flur -30, 200 । ইহা Silicea এর একটি এন্টিডোট এবং ফিস্টুলায় উপকারী ।
Sulfer - 30, 200 । মলদ্বার ফোলে, দপদপ করে, মল ত্যাগের পরে ছুরী বেঁধার মত বেদনা বর্তমান । এটা খুবউচ্চশক্তি প্রয়োগ করতে হয় ।

Dr. Karlton প্রথম Berberis - 30 পরে Sulfer - 30 দিয়ে অনেক রোগী আরোগ্য
করেছেন এইরকম মন্ত্যব্য প্রকাশ করেন ।এছাড়াও - ফিস্টুলার সাথে ফুসফুসের কোনও সমস্যা থাকলে Phosphorus, ফিস্টুলা অপসারনের পর Calcarea Phos, মলদ্বারে গরম ও জ্বালাবোধ, দপদপ করা,মলদ্বার ভারীবোধ ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে Alo soc উপকরি ।

 

বিশেষ দ্রষ্ট্যবঃ কোনও ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.